BREAKING NEWS. হাতির হানায় মৃত‍্যু হল এক যুবকের : চাঞ্চল‍্য এলাকায়

7th October 2020 10:22 am বাঁকুড়া
BREAKING NEWS. হাতির হানায় মৃত‍্যু হল এক যুবকের : চাঞ্চল‍্য এলাকায়


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : হাতির অবস্থানের উপর নজর থাকলেও গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে পারেনি বন দপ্তর বলে অভিযোগ । বিভিন্ন সময় ফসলের জমি যেমন হাতি নষ্ট করেছে , বসত বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে হাতির দল । বাঁকুড়ার জঙ্গল লাগোয়া এলাকাগুলোতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা । এর মধ‍্যেই হাতির হানায় মৃত‍্যু হল এক যুবকের । মৃতের নাম মিলন কারক । বয়স ২৫ বছর । ঘটনাকে ঘিরে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাজুড়ে । গতকাল মুখ‍্যমন্ত্রী পশ্চিম মেদিনীপুর এর প্রশাসনিক বৈঠক থেকে হাতির হানায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ সহ চাকরী দেবার কথা ঘোষনা করেছেন । পুরুলিয়া , বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্ৰাম জেলার জন‍্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় ।  এরপর জেলার প্রশাসন কি পদক্ষেপ নেয় তার দিকেই তাকিয়ে সকলে । বন দপ্তরের গাফিলতির দিকেও আঙুল তুলছেন স্থানীয়রা । 

জানা গেছে গতকাল দুপুরে বড়জোড়া এলাকায় থাকা প্রায় চল্লিশটি হাতির দলকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সোনামুখী ব্লক এলাকায়। রাতে স্থানীয় কোচডিহির জঙ্গলে ছিল হাতির পালটি। সন্ধ্যে নামতেই খাবারের খোঁজে জঙ্গল ছেড়ে হাতির পালটি নেমে আসে পার্শ্ববর্তী ধানের জমিতে। নিজের জমির ফসল বাঁচাতে অন্যান্য গ্রামবাসীর পাশাপাশি মিলন কারকও নিজের জমি পাহারা দিতে গিয়েছিলেন। জমি পাহারা দেওয়ার সময় আচমকাই হাতি আক্রমণ করে মিলন কারককে। তাঁকে শুঁড়ে করে তুলে মাটিতে আছাড় মেরে পায়ে করে থেঁতলে দেয় হাতিটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মিলন কারকের। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে সোনামুখী থানায় নিয়ে যায়। মিলন কারকের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেও বন দফতরের কর্মী ও আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে না যাওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। এদিকে আজ মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে। মিলন কারকের মৃত্যুর জন্য এলাকার মানুষ বন দফতরের পরিকল্পনাহীনতাকেই দায়ী করেছেন। স্থানীয় বিধায়কের দাবি যে এলাকায় হাতির দল রয়েছে সেই এলাকার মানুষকে সচেতন করার উদ্যেশ্যে প্রকৃত তথ্য বন দফতরের তরফে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে এই ধরনের দুর্ঘটনা বারংবার ঘটছে। মানুষের জীবনের দাম আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা চাকরীতে নয় প্রাণহানীর ঘটনা যাতে এড়ানো যায় সে ব্যাপারে বন দফতরকে সচেষ্ট হতে হবে।  তবে এ বিষয়ে সোনামুখী রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসার দল চক্রবর্তীর বলেন এলাকায় হাতির দল আসার ব্যাপারে যথা সময়ে সঠিক জায়গায় খবর দেওয়া হয়েছিল । ঘটনার আগের দিন আমি নিজে বিট বাবুকে নিয়ে ওই গ্রামবাসীদের এবং চাষীদের নিয়ে আলোচনা করি কিভাবে হাতি গুলিকে ড্রাইভ করা হবে তারপরও এই দুর্ঘটনা ঘটে গেছে । মৃতের পরিবারকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে । 
তিনি বিধায়ক সাহেবের কথার পরিপেক্ষিতে বলেন আমার এক্তিয়ারের মধ্যে যে সমস্ত মিটিং গুলি হয় সবগুলিতেই আমি বিধায়ক সাহেবকে খবর দেই যেগুলি আমার এক্তিয়ারের নয় সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।